বলা হয়, রক্তদান মানে জীবন দান। কেননা রোগীর শরীরে রক্তের অভাব ঘটলে, জীবনরক্ষা করার একমাত্র উপায় হলো অবিলম্বে তাকে রক্ত দেয়া। কিন্তু চাইলেই আপনি রক্তদান করতে পারবেন না। রক্তদানের ক্ষেত্রে নিজের শারীরিক অবস্থা প্রধান বিবেচ্য। এ জন্য প্রথমত আপনার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। দ্বিতীয়ত ন্যূনতম ওজন ৪৫ কেজি হতে হবে। তৃতীয়ত শারীরিক তাপমাত্রা,
রক্তচাপ ও নাড়ির গতি স্বাভাবিক মাত্রায় থাকতে হবে। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ পরিমাণে থাকতে হবে। এ ছাড়া বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, এগুলোর মধ্যে যে কোনো একটিতে আপনি ভুগলে রক্তদান করতে পারবেন না।
যার মধ্যে রয়েছে:
* ক্যানসার; * হৃদরোগ; * রক্তক্ষরণ জনিতে রোগ;
* অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া;
* ইনসুলিন নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস;
* হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণ;
* ক্রনিং নেফরাইটিস;
* এইচআইভি/এইডস
* লিভার-এর রোগ;
* যক্ষা;
* পলিসাইথেমিয়া ভ্যারা;
* অ্যাজমা;
* মৃগী রোগ;
* লেপরোসী;
* সিজোফ্রোনিয়া;
* রিউম্যাটিক ফিভার;
* সিফিলিসের সংক্রমণ;
* এন্ডোক্রাইন ডিজঅর্ডারসমূহ;
* হেপাটাইসিস-সি।
এবার চলুন জেনে নেই কোন ক্ষেত্রে কত দিন পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না, সে সম্পর্কে:
* অ্যাবরশন/সার্জারির ৬ মাস পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।
* টাইফয়েড থেকে রোগমুক্তির পর ১২ মাস পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।
* ট্যাটু মার্ক- ট্যাটু করানোর পর ৬ মাস রক্তদান করা যাবে না।
* সন্তান জন্মের পর ৬ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।
* ইমুনাইজেশন (কলেরা, টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া, টিটিনাস, পেগ, গামাগোবিউলিন)- ১৫ দিন পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।
* দাঁত উঠানোর ২ সপ্তাহ পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।
* চর্মরোগ (অ্যাকজিমা) থাকলে আরোগ্য লাভ না হওয়া পর্যন্ত রক্তদান করা যাবে না।
* নিষিদ্ধ ওষুধের প্রতি আসক্তি থাকলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর রক্তদান করা যাবে।
* লোকাল ইনফেকশন/মাসিক/সাধারণ সর্দি জ্বর সেরে ওঠার পর রক্তদান করা যাবে।
* কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা নেগেটিভ বা সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার ২৮ দিন পর রক্ত দিতে পারবেন।
* রক্তদাতা ৩ থেকে ৪ মাসে একবার রক্তদান করতে পারবেন।
তথ্যসূত্র: রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ, পিজি হাসপাতাল
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।